১৮ তম বেসরকারি প্রভাষক নিবন্ধন পরীক্ষা (13-07-2024) || 2024

All Written Question

ISBN, ISSN এবং DOI মূলত প্রকাশনা ও গবেষণা সংক্রান্ত ডকুমেন্টগুলির পরিচিতি ও সহজতর ব্যবস্থাপনার জন্য ব্যবহৃত হয়।

1. ISBN (International Standard Book Number)
কী: ISBN একটি অনন্য সংখ্যা যা বইয়ের জন্য বরাদ্দ করা হয়। এটি সাধারণত ১৩-সংখ্যার হয়।
ব্যবহার: বইয়ের একক বা নির্দিষ্ট সংস্করণের সনাক্তকরণ, যাতে বিভিন্ন প্রকাশনা এবং বিতরণ সংস্থাগুলো বইটির বিশদ বিবরণ দেখতে পারে এবং ব্যবস্থাপনা করতে পারে।
2. ISSN (International Standard Serial Number)

কী: ISSN একটি অনন্য সংখ্যা যা ধারাবাহিক প্রকাশনার জন্য বরাদ্দ করা হয়, যেমন ম্যাগাজিন, জার্নাল, এবং সংবাদপত্র। এটি ৮ সংখ্যার হয়।
ব্যবহার: ধারাবাহিক প্রকাশনাগুলির সনাক্তকরণ, যার ফলে লাইব্রেরি, প্রকাশক ও গবেষকরা সহজেই এগুলিকে পরিচালনা করতে পারে।
3. DOI (Digital Object Identifier)
কী: DOI একটি অনন্য আলফানিউমেরিক স্ট্রিং যা ডিজিটাল কন্টেন্ট, বিশেষ করে বৈজ্ঞানিক নিবন্ধ ও গবেষণাপত্রের জন্য ব্যবহৃত হয়।
ব্যবহার: অনলাইনে প্রকাশিত কন্টেন্টের ধ্রুবক লিংক হিসেবে কাজ করে, যাতে সেটি সহজে খুঁজে পাওয়া যায় এবং উদ্ধৃত করা যায়।

বাংলাদেশে ISBN পাওয়ার ধাপগুলো:
প্রকাশনার প্রয়োজনীয়তা নির্ধারণ: প্রথমে নিশ্চিত করুন যে আপনার প্রকাশনার জন্য ISBN প্রয়োজন।

ISBN এর জন্য আবেদন ফর্ম পূরণ করুন: বাংলাদেশের ISBN জন্য আবেদন করতে হলে জাতীয় গ্রন্থাগারে (National Library of Bangladesh) আবেদন করতে হবে। জাতীয় গ্রন্থাগার বা বাংলা একাডেমির মাধ্যমে এই ফর্ম পাওয়া যায়।

প্রয়োজনীয় নথি সংগ্রহ: আবেদন ফর্মের সাথে প্রকাশনা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় নথি সংযুক্ত করতে হবে যেমন প্রকাশনার কভার পেজ, বিষয়বস্তু তালিকা ইত্যাদি।

আবেদন জমা দিন: সব তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করার পরে, আবেদনটি জাতীয় গ্রন্থাগারের ISBN বিভাগের কাছে জমা দিন।

ফি পরিশোধ: যদি কোন প্রকার ফি নির্ধারিত থাকে, তা পরিশোধ করুন।

ISBN গ্রহণ: আবেদন সফলভাবে প্রক্রিয়া হওয়ার পরে, আপনাকে একটি ISBN বরাদ্দ করা হবে, যা আপনার বইয়ের প্রতিটি কপিতে উল্লেখ করতে হবে।

এটি করার মাধ্যমে আপনি আপনার প্রকাশনাকে একটি বৈশ্বিক পরিচিতি প্রদান করতে পারবেন, যা লাইব্রেরি ও বইয়ের দোকানে সহজেই পাওয়া যায়।